এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনায় বিদ্যমান নীতিমালার সাথে নতুন করে আরো কিছু শর্ত আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে কিছু কঠিন শর্ত যোগ করা হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও গোপন পাসওয়ার্ডসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য নিশ্চিতকরণ, এজেন্টের মালিকের তথ্য সংরক্ষণ, এজেন্ট আউটলেট মনিটরিং এবং আউটলেট চালু, ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পূর্ব অনুমোদন প্রভৃতি। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালানয় এজেন্টের পরিচয়ের জন্য ছবি, জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পিন নম্বর, বায়োমেট্রিক আঙ্গুলের ছাপ ও লেনদেনের তথ্য সংক্রান্ত গোপন কোড বা বার্তা প্রভৃতি নিশ্চিত করতে হবে। এজেন্ট ব্যাংকিং আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়োজিত কর্মকর্তাকে সরাসরি আউটলেট পরিদর্শন করে এর যাবতীয় কার্যক্রম কঠোরভাবে যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি আউটলেটের ব্যবস্থাপক অথবা নিয়োজিত কর্মকর্তা এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাংকের শাখার সাথে পরামর্শ করে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম মনিটর করবেন। আর এজেন্ট মালিকানার পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে লিখিত আবেদন করে আগেই অনুমতি নিতে হবে। তবে আউটলেট বন্ধ করতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

একইভাবে গ্রাহকের পরিচয় হিসেবে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পিন নম্বর, বায়োমেট্রিক আঙ্গুলের ছাপ, এটিএম কার্ড, লেনদেনের তথ্য সংক্রান্ত গোপন কোড বা বার্তা প্রভৃতি নিশ্চিত করতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের অনলাইন ও হার্ডকপি পরবর্তী মাসের সাত কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংকসমূহকে ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার সময় সংঘটিত অনিয়ম, জালিয়াতি, স্ক্যান্ডাল ও অনভিপ্রেত দুর্ঘটনা প্রভৃতি উল্লেখ করবে এবং এ ধরনের ঘটনায় নিজেদের গৃহীত পদক্ষেপ ও শাস্তি প্রভৃতির বর্ণনা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এমন কোনো ঘটনা না ঘটলে সেটিও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।